খালিদ হাসান রিংকুঃ-ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়াশোনা। ইচ্ছে ছিল তার পর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু হয়নি। দরিদ্র পরিবারের দিন আনি দিন খাই অবস্থা। উচ্চশিক্ষা সেখানে স্বপ্নের মতো ব্যাপার। তবে ছোট থেকেই ছোটন আহম্মেদ গুর্জরের গতি ছিল। খালি পায়ে তীরের বেগে ছুটতে পারত সে। গ্রামের মানুষ তাঁর সেই প্রতিভার প্রশংসা করত। কিন্তু এত জোরে দৌড়নোর প্রতিভা নিয়ে যে বড় হওয়া যায়, সেই আন্দাজটা তাঁদের ছিল না।
ছোটনের গুর্জরের খালি পায়ে রাস্তার উপর ছোটার একটা ভিডিয়ো কিছুদিন আগে ভাইরাল হয়। এক তো খালি পা। তার উপর রাস্তার উপর দৌড়! তাতেই বাজিমাত করল ছোটন আহম্মেদ। ১০০ মিটারের দূরত্ব সে পার করল মাত্র ১১ সেকেন্ডে। দৌড়নোর জন্য আদর্শ জুতো পায়ে থাকলে সময়টা হয়তো আরও কমতে পারত। অথবা রাস্তার বদলে ট্র্যাক হলেও সময়ের হিসেব আলাদা হতে পারত। ছোটনের দৌড়ের সেই ভিডিয়ো দেখে যেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী যেন তাকে ক্রিয়াচর্চা সুযোগ করে দেন।
কুষ্টিয়া জেলার ১৯ বছর বয়সী ছোটনের কাছে এই দৌড় স্বপ্নের মতো হয়ে গেল। প্রত্যন্ত গ্রামে ছোটনের মতো অনেক প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। সঠিক মঞ্চের খোঁজ না পাওয়ায় সেইসব প্রতিভারা হারিয়ে যায়। ক্রীড়ামন্ত্রী এমন প্রতিভা খুঁজে বের করার অঙ্গীকার করলেন। আর ছোটনের দৌড় যাঁরা দেখেছেন তাঁদের অনেকের দাবি, ঠিকঠাক প্রশিক্ষণ পেলে ১০০ মিটার দূরত্ব মাত্র নয় সেকেন্ডে পার করার ক্ষমতা রাখে কুষ্টিয়া দৌলতপুরের সন্তান ছোটন আহম্মেদ।
ছোটবেলা থেকে তার খুব ইচ্ছে সে যদি কোনো ক্লাবে বা থানা পর্যায় বা জেলা পর্যায় কোনো ক্রিয়া প্রতিযোগীতা অংশ গ্রহন করতে পারে, যদি কোনো ক্রিয়া বিষয়ক অফিসার কোনো ভাবে সাহায্য করতে পারে এটাই তার আকুল আবেদন।