অনলাইন ডেস্ক
ভরতের মধ্যপ্রদেশে ঐতিহ্যবাহী পাথর ছোড়া উৎসব ‘গোতমার’ রক্তাক্ত চেহারায় রূপ নিয়েছে।
শনিবার প্রদেশটির ছিন্দওয়ারা জেলার এ ঘটনায় চার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা সত্ত্বেও এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুইজন চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, চার শ’ বছর ধরে চলে আসছে এই ঐতিহ্যবাহী ‘গোতমার’। প্রথা অনুযায়ী জাম নদীর দুইপাশে সওয়ারগাঁও ও পান্ধুরনা গ্রামের বাসিন্দারা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে শুরু করেন একে অপরকে পাথর ছোড়ার খেলা। এই পাথর ছোড়ার মধ্যে যে গ্রামের বাসিন্দারা নদীর বুকে লাগানো পতাকা আগে দখল করতে পারবেন, সেই গ্রাম জয়ী বলে বিবেচিত হবে।
শনিবার এই খেলা খেলতে গিয়ে চার শতাধিক মানুষ আহত হন। খেলায় এ বছর জয়ী হয়েছে পান্ধুরনা গ্রাম। গোতমারের আক্ষরিক অর্থ পাথর ছোড়া। স্থানীয় ভাষায়, গোত অর্থ- পাথর আর মার অর্থ ছোড়া।
কথিত আছে, শতশত বছর আগে পান্ধুরনা গ্রামের এক ছেলে প্রেম করে সওয়ারগাঁওয়ের এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। জাম নদী পার হওয়ার সময় তাদের ওপর পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয়। পান্ধুরনা গ্রামের লোকজন তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। এক পর্যায়ে নিরাপদে নদী পার হয়ে পালিয়ে যান তারা।
শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশ নয়, উত্তরপ্রদেশে, উত্তরখণ্ডের মতো এ ধরনের বিভিন্ন খেলা দেখা যায়। হোলিতে উত্তরপ্রদেশে ‘লাঠমার’ হোলি খেলা হয়। যেখানে লাঠির আঘাতের পর হোলি খেলা হয়। পুরুষদের এখানে নারী লাঠি পেটা করেন। এছাড়াও উত্তরখণ্ডে ‘বাগওয়াল’ খেলাতেও পাথর ছুড়ে উদযাপন করা হয় উৎসব।
ছবি – ইউটিউব থেকে নেওয়া স্কিনশট