আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ানের তাণ্ডবে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ বাহামায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়া মানুষের আশ্রয় হয়েছে খোলা আকাশের নিচে।
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। এরই মধ্যে, সেখানে সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যতদূর চোখ পড়ে দেখা মিলবে শুধু ধ্বংসস্তূপের চিত্র। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সাজানো গোছানো ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ বাহামা।
ঝড়ো বাতাস, জলোচ্ছ্বাসে ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্রসহ বহু স্থাপনার কোন হদিস নেই। ভারী বৃষ্টির কারণে কারণে তলিয়ে গেছে উপকূলীয় এলাকা। ডোরিয়ানের আঘাতে আলবাকো জাতীয় বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। হতাহতদের উদ্ধারে দেশটির সরকারের পাশাপাশি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে রেড ক্রস।
তবে, ঘূর্ণিঝড়ের পর ঘর-বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। কিন্তু সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় হয়েছে তাদের। ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাহামার প্রধানমন্ত্রী।
বাহামার প্রধানমন্ত্রী হুবার্ট মিনিস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সেনা সদস্যরা কাজ করছেন। কয়েকটি দেশটি ইতিমধ্যে সহায়তা ত্রাণ পাঠিয়েছে, বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আমরা আশা করি সবার সহযোগিতায় এখানকার মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে।
তবে, বাহামায় পর্যায়ক্রমে আরও ত্রাণ পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা খুবই ভাগ্যবান যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এখনও আমাদের এখানে আঘাত হানতে পারেনি। এটি ধীরে ধীরে ফ্লোরিডার দিকে এগিয়ে আসছে। আমরা সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছি। তবে, বাহামার অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা হেলিকপ্টার ও ত্রাণ পাঠাচ্ছি।
বর্তমানে ক্যাটাগরি ২ মাত্রার মৌসুমি ঝড়ে পরিণত হয়ে ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঝড়টি। এ জন্য ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনায় জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে।