নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এই যে পজেটিভ দিক ও পজেটিভ ধারায় ফিরে এসেছে, তার রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাহাজীর’ নামের একটি অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০০৯ সালের পর আমাদের কঠিন বাস্তবতা মোকাবিলা করতে হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাসের মাথায় পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ হল। এরপর ২০১২, ১৩, ১৪, ১৫ সাল কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে। বিএনপির ৯৩ দিনের অবরোধ উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরেছেন। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার বুদ্ধিমত্ত্বার কারণে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভালো সময় গেছে।
তিনি বলেন, সেই সময় আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বলেন, সংবিধান বলেন, আইন-আদালত বলেন; সবকিছুতে একটা চ্যালেঞ্জ্ ছুড়ে দেয়ার বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ২০১৮ সালে এসে আমরা একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখেছি। সেই নির্বাচনের পরে যারা সংসদ নিয়ে অনেক কথা বলেছিল, তারাই কিন্তু বাস্তবতায় ফিরে এসেছে। এখন দেখলাম তারা উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নেবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রত্যেকটি ইভেন্টে তারা অংশগ্রহণ করছে। এ ছাড়া তারা শুধু সংসদ অধিবেশনই নয়, সংসদের যে কমিটিগুলো আছে সেখানে, তারা যে বিদেশে যাচ্ছে বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে, সেখানেও কিন্তু তারা যাচ্ছেন এবং কথা বলছেন। এটা পজেটিভ দিক। বাংলাদেশ এখন এই যে পজেটিভ দিক ও পজেটিভ ধারায় ফিরে এসেছে, তার রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এসডিজির লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সবার উদ্যোগ প্রয়োজন। আমরা আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি’র লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে চাই। ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে যেতে চাই। আমাদের সোনার বাংলা গড়তে, মধ্যম ও উন্নত দেশের কাতারে নিতে হলে জাহাজীর মতো ছোট ছোট উদ্যোগকে কাজে লাগাতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি। এই দেশের ধূলা-বালি, কাদা-মাটি মেখেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ জন্য আজীবন আমরা এ দেশেই থাকতে চাই। এই চাওয়াই ছিল ৩০ লাখ শহীদের চাওয়া, ৩ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের চাওয়া।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কার্গো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, প্রযুক্তি পরামর্শক নাইমুজ্জামান মুক্তা, কাজল আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তব্যের পরে নৌপ্রতিমন্ত্রীসহ অতিথিরা জাহাজ শিল্পের নতুন অ্যাপ ‘জাহাজীর’ উদ্বোধন করেন। আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে যে পণ্যবাহী জাহাজ চলে সেগুলোকে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রযুক্তি সেবা দেবে এই প্রতিষ্ঠান।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ট্র্যাকিং এবং বুকিংয়ের ব্যাপারে সাহায্য করবে জাহাজী। ‘জাহাজী’ অ্যাপ ইনস্টল করে একজন সাপ্লায়ার সহজেই বুকিং সেবার মাধ্যমে জাহাজ ভাড়া, জাহাজের অবস্থান ও ধারণক্ষমতা যাচাই করে লাইটার জাহাজ ভাড়া করতে পারবেন। এ ছাড়া জাহাজের মালিকও অ্যাপটির ক্যারিয়ার এবং সাপ্লায়ার ট্র্যাকিং সেবার মাধ্যমে তাদের জাহাজের ও ট্রিপের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখতে পারবেন।