কুষ্টিয়া কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টেস্টের নামে প্রতিদিন হাজার-হাজার টাকা কমিশনের বিনিময়ে ডাইগোনেষ্টিক সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে অসহায় রুমীদের। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১১১ নম্বর কক্ষে রুগী দেখছেন ডি,এম,এফ, মিজানুর রহমান ।কিন্তু ১১১ নং কক্ষে রুগী দেখবেন মেডিকেল অফিসার , এখন মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি কি ভাবে টেস্টের জন্য স্বাক্ষর করেন। তিনি জানান না’ তো ‘আমি এমন স্বাক্ষর করিনি! তার সামনে তার স্বাক্ষর করা একটি মেডিকেল টেস্টের জন্য স্বাক্ষর করা প্যাড দেখালে তিনি আর কোন উওর দেন নি। মিজানুর রহমান জানান আমার উদ্ধতন কর্মকর্তা বিষয়টি জানেন আপনারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প,প,প কর্মকর্তা ডাঃ আকুল উদ্দীন কাছে জানতে চাওয়া হয় ডি,এম ,এফ ডাক্তার কোন রুগীর টেস্টের জন্য স্বাক্ষর করতে পারে ? তিনি জানান না তিনি এই ধরনের কোন টেস্টের জন্য স্বাক্ষর ব্যবহার অবৈধ! তা হলে ১১১ রুমে মিজানুর রহমান কি ভাবে মেডিকেল টেস্টের জন্য স্বাক্ষর করেন? তিনি জানান এটা তিনি আমার জানেন না। কুমারখালী উপজেলা প্রায় ৪ লক্ষ্যের মানুষের জন্য ১ টি মাত্র ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । নানা সমস্যার জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টি , অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট রয়েছে, নতুন ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্রটি এ হাসপাতালে দেওয়ার পর থেকেই প্যাকেট বদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে ,ইসিজি মেশিন থাকলেও সেটা বেশির ভাগ সময়ই নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে । এই হাসপাতালে রোগীর সেবার জন্য নেই কোনো আধুনিক কোন ব্যবস্থা । এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৪ থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষ জরুরী বিভাগে সেবা নিতে আসে । স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টি নানা অ ব্যস্থাপনার মধ্যে দিয়ে চলছে। এখানে সেবা নিতে আসা রুগীরা জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলেই আগে টেস্টের জন্য ডাইগোনেষ্ঠিক সেন্টারে গুলোতে পাঠানো হয় টেস্টে করবার জন্য। এতে করে গরিব অসহায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কেও আবার সেবা নিতে আসা রুগীরা টাকার অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।