রিয়াজুল ইসলাম :-প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ে প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এর আগে মণ্ডপগুলোতে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ-উৎসব। হিন্দু সধবা নারীরা প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে দেন, নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। চলে মিষ্টিমুখ, ছবি তোলা আর ঢাকের তালে তালে নাচ-গান।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া ্এন,এস রোড থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রা শেষে গড়াই নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়। হিন্দু ধর্মানুসারী শিশু-কিশোর-যুবক-বৃদ্ধরা রঙ-বেরঙের পোশাক ও গালে-কপালে সিঁদুর লাগিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নাচছেন অনেকেই।
এর আগে কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার ও বিভিন্ন মন্দির থেকে ট্রাকে করে প্রতিমা নিয়ে গড়াই নদীর চত্বরে আসেন পুণ্যার্থীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কুষ্টিয়া শহরে যানজট এড়াতে ও নিরাপত্তাব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে একসঙ্গে সব প্রতিমা বিসর্জন করা হবে। সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করে রাত ৯টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন করতে আহ্বান জানিয়েছিল বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
এ বছরের মত শেষবার পূঁজাম-পে এসে তাই ভক্তরা দেবীর পায়ের সিঁদূরে নিজেদের ভক্তি শ্রদ্ধায় রাঙিয়ে নেয়। দেবীর বিদায়ে অনেকে আবেগে অশ্রু ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর পূজা অর্চনা এবং সকল আন্ষ্ঠুানিকতা শেষ করে দুপুরের পর থেকে স্ব স্ব ম-পের প্রতিমাগুলো টেলা গাড়ীতে তোলা হয়।
জেলা শহরের বিভিন্ন মন্ডপ, বিভিন্ন সড়ককের বিভিন্ন স্থান, গাছ, ব্লিডিং বাড়ি-ঘর বর্ণালী আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়। বারোয়ারী মা মন্ডপের গেটের আলোসজ্জা ছিল দৃষ্টি নন্দন। এবার জেলায় ২৪৫টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হয়।
বিজয়া দশমীতে গড়াই নদীর এলাকায় দুই ধারে ঘোড়ার ঘাটে গতকাল মঙ্গলবার বসেছিলো দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা। চোখের জল আর হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে দুই ধারে জড়ো হন হাজারো পূজারী ভক্ত অনুরাগী, দর্শনার্থী ও শুভার্থীরা।