দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া দৌলতপুরে ফিলিপনগর ইউনিয়নের অন্তরগত সিরাজনগর গ্রামের এক ভূমিহীন বিধবা মহিলা ও তার তিন সন্তানকে আহত করে বাড়ির জমি (খাস জমি) দখলের অভিযোগ উঠেছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার তিন ছেলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী, বিধবা মহিলা বেদানা খাতুন (৫৫) বলেন, আমার স্বামী ভূমিহীন ছিলেন, তাই সরকারী খাসজমি তার স্বামী ভোগ দখলে থাকায়। ভূমিহীন বন্দোবস্ত মামলায় সরকার বাহাদুর আমাদের বন্দোবস্ত প্রদান করেন। আমার স্বামী সেখানে বসবাস করতে করতে মারা যায়।
তার কাওসার বলেন,
মুক্তিযোদ্ধা আহসান হাবীব ও তার তিন ছেলে সাহাজুল ইসলাম, অর্জুন,ও শিপনরা মিলে
আমার মা ও আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে,আমরা যেন বসতবাড়ি ভেংঙে জমি ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। তিনি আরোও বলেন দেখেন,আনুমানিক
গতো, ১৭/০৮/১৯ ইং, তারিখ বিকাল ৩:৩০ ঘটিকায়, আমাদের উঠানের গাছ কেটে বেড়া ভেংগে দিয়ে তার ছেলের গাড়ি রাখার চেস্টা করে, আমরা বাধা দিলে,তারা আমাদের উপর দেশিও অস্র নিয়ে,( কোদাল, হাসুয়া,লোহার রড) দিয়ে আক্রমণ করে, এবং, আমার মা বোন সহ আমাকে আহত করে।
আমরা বিষটা বিভিন্ন মহলকে জানিয়েছি কিন্তু সঠিক কোন বিচার পায়নায়।
তিনি বলেন, আমরা অসহায় হয়ে পরেছিলাম, পরে আমরা, এটা স্থানীয় চেয়ারম্যান, ও মাননীয় এম পি মহাদয় কে এবং দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দৌলতপুর থানা কে জানায়,প্রায় দুই মাস পরে, এম পি সাহেবের প্রতিনিধি, জনাব হায়দার হোসেন, (বীর মুক্তিযোদ্ধা)ও হাসিনুর আমাদের কে ডাকে এবং বলে তোমরা কেও মারামারি করোনা। তখন আহসান হাবীব বলে,ঠিক আছে আমরা মারামারি করবো না।কিন্তু তার পরের দিন, আমাদের সাথে মারমারি করে।এবং খুনের উদ্দেশ্য আমাদের ঘরে ডুকে,আমার মা এবং বোনকে উলংগ করে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পেটায়, এবং আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়।
বিধবা মহিলা ও তার সন্তানরা বলেন, আমরা গরিব বলে কি আমরা কোন বিচার পাব না। গরিবের জন্য কি দেশে কোন আইন নেয়। গরিবরা সারাজীবন এমন ভাবে অত্যারিত হবে।
তারা বলেন, আমি আবারও বলতে চাই আমাদের দৌলতপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাবা শারমিন আক্তার ও দৌলতপুর থানার অফিসার এসএম আরিফুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আমার আকুল আবেদন আমাদের একটি সঠিক বিচারের দাবি জানাই।