কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
সাড়ে ৩ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলাবাসীর রোগ সারাবার একমাত্র ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালটি নানা দুর্নীতি আর অনিয়মের কারনে এখন নিজেই রোগী।
চিকিৎসক সংকট তো রয়েছেই। পাশাপাশি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মধ্যে বেশিরভাগ চিকিৎসকের কর্তব্যে অবহেলার কারনে উপজেলার চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশী রোগীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ওপর অনেকটা ত্যাক্ত-বিরক্ত। অন্যদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বিভিন্ন সময় দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিভিন্ন উৎস থেকে আয় হওয়া অর্থ লুটপাট করে আখের গুছিয়েছেন মর্মেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
তা সত্বেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে নতুন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার যোগদানের পর থেকে আর্থিক অনিয়মের লাগাম টেনে ধরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মূলক প্রতিষ্ঠানে রুপদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম হোসেন ফারাজীর সহযোগীতায় আরএমও ডাঃ আব্দুর রকিব তার দায়িত্ব পালনের ২৫ মাসে হাসপাতালের এ·রে, ইসিজি, এ্যাম্বুলেন্স, প্যাথলজি,আউটডোর টিকিট কাউন্টার ও ইমারজেন্সি থেকে সরকারী নির্ধারিত রশিদের মাধ্যমে ২০১৫-১৬ সালে ১৩ লাখ ২২ হাজার ১ শত ৮৫ টাকা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে জমাদান করেছেন।
সে হিসাবে মাসিক গড় আয় ৫২ হাজার ৮ শত ৮৭ টাকা। যা পূর্বসুরীদের জমাদান অর্থের দ্বিগুন।
উল্লেখ্য ২০১৩-১৪ সালে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ব্যপক আর্থিক অনিয়মের কারনে ২০ মাসে উল্লেখিত উৎস থেকে আয় দেখিয়েছেন ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭ শত ৯০ টাকা। এ সময় তাদের মাসিক গড় আয় ছিল মাত্র ২৬ হাজার ৩ শত ৮৯ টাকা।
এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, ইউএইএ ডাঃ সেলিম ফারাজী ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার রকিব আমলে মাসিক গড় আয় ৫২ হাজার ৮ শত ৮৭ টাকা হলে পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্তদের আমলে মাসিক গড় আয় কেন মাত্র ২৬ হাজার টাকা ছিল।
মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি উঠেছে।