কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শেরপুর গ্রামের ক্যান্সার আক্রান্ত কলেজ ছাত্র ফরহাদ আহম্মেদ পিয়াস বাঁচতে চায়। সে ওই গ্রামের মোমিনুল হকের একমাত্র ছেলে। তার পিতা মিরপুর মাহমুদা চৌধুরী ডিগ্রী কলেজের চতুর্থ শ্রেনীর একজন কর্মচারী। বর্তমানে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে নিভে যাচ্ছে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ২য় বর্ষে শিক্ষার্থী পিয়াসের (১৯) জীবন প্রদীপ। সে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন এক বছর। টাকার অভাবে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে তার চিকিৎসা। ঠিকমত চিকিৎসা করাতে পারলে ভালো হয়ে উঠবে ফরহাদ আহম্মেদ পিয়াস এমনটিই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বোন ম্যারো বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত পিয়াসের চোখে মুখে শুধু বাঁচার আকুতি। পিয়াসের বাবা মোমিনুল হক জানান, প্রায় ১ বছর পূর্বে রক্তসহ বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে তার শরীরের ব্লাড ক্যান্সারের আলামত পাওয়া যায় বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করতে ইতিমধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। এখন বোন ম্যারো প্রতিস্থাপনের জন্য ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। আমার স্বল্প আয়ে একমাত্র সন্তানের চিকিৎসা ব্যায় বহন করা সম্ভব নয়। তাই সন্তানের জীবন বাঁচাতে বৃত্তবান মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মোঃ মোমিনুল হক, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩০১৮৯০১০১৮১০৭, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, মিরপুর শাখা, কুষ্টিয়া। বিকাশ নম্বর ০১৮৭১০৪৯০১৩। উল্লেখ্য তার বড় মেয়ে মমতাজ আইরিন মিম ২০১৫ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।