নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া গড়াই নদী থেকে অবৈধ ভাবে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী ওয়ার্ড নেতা কমিশনার মহিদুল ইসলাম। প্রতি রাতে শতাধিক ড্রাম ট্রাক ভর্তি বালু উত্তোলন হচ্ছে। কুমারখালী উপজেলার কয়া গট্টিয়া ঘাটে অবৈধ বালি উত্তোলন করছে শামিম ও আরজু। সাওতা ঘাটে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে সাইদুল ইসলাম মাথুন। চাঁপড়া চর থেকে বালু উত্তোলন করছে ঝন্টু। যদুবয়রা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে আরিফ। কুমারখালীর জিলাপিতলা মাসুদ ও ফরহাদ দিন রাত ২৪ ঘন্টা অবৈধ ভাবে শত শত ট্রাক বালু উত্তোলন করছে। স্থানীয় ভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এলাকাবাসীর কোন প্রকার অভিযোগই আমলে নেন না ওই সব প্রশাসন। যে কারনে কোন কিছু তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীরা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে! এছাড়া কয়েক দফায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জেল জরিমানা করা হলেও সে জরিমানার পুষিয়ে নিতেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন যেনো আরো বেড়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে যুগিয়া গড়াই নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায় প্রকাশ্যে নদী থেকে এস্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলন করে ড্রাম ট্রাক লোড করা হচ্ছে। পাশে বসে বালু খেকো কাউন্সিলরে কিছু ক্যাডার বাহিনী পাহাড়া দিচ্ছে। এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হলে নদীর পাড় ভেঙে আমাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক রাস্তা দিয়ে চলাচলের জন্য এই রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অবৈধ বালু ব্যবসায়ী ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার অনেক টাকা হয়েছে। সে নেতাদের সঙ্গে উঠাবসা করে। এই জন্য আমাদের মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার নেই। এলাকাবাসী আরো জানায়, প্রসাশনের ছত্রছায়ায় বালু উত্তোলন চলছে।