মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মিন্টু (২৬) কাছে থেকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার ধানখোলা গ্রামের বাগান পাড়ার গোলাম মোহাম্মদ মন্টুর মেয়ে মায়া খাতুন (২৩) এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।মেয়ের মা মমতাজ বেগম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার নিজের নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে প্রতারণা করেছে। যার বিকাশ নং ০১৯৩৮৯৬৯৪২০
মালয়েশিয়া প্রবাসী মিন্টু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ও ইমোতে লিখিত অভিযোগে জানায়, আমার কাছে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে বিকাশের মাধ্যমে আমার কাছে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মায়া খাতুনের মা মমতাজ বেগম তার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার নিজ বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।বর্তমানে সে টাকার অংক দাঁড়িয়েছে ৩লক্ষ ৩৮হাজর ৬৮০ টাকা।আমি তাকে বিয়ে করতে চাই কিন্তু সে এখন বিয়েতে রাজি নয়।
অভিযুক্ত মায়া খাতুন জানায়,দুই বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্ক,এর সুবাদে সে আমাকে বিভিন্ন সময় টাকা দিয়েছে।কিন্তু সে টাকার পরিমান কত হবে তা আমার জানা নেই।
এব্যাপারে মায়ার মা মমতাজ খাতুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন,আমার মেয়েকে টাকা দিয়েছে শুনেছি তবে কত টাকা জানিনা।তারা গোপনে প্রেমজ সম্পর্ক করে টাকা লেনদেন করেছে কী আমার জানা নেই।আমার মেয়ে তার কে হয় যে সে বিদেশ থেকে আমার মেয়েকে টাকা দিয়েছে।আমার মেয়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বার বার সাংবাদিক পাঠিয়ে আমাকে হেয় করছে। টাকা যদি নিয়ে থাকে তবে যেভাবে পারে সে আদায় করে নিক।আমরা কোন টাকা দেবনা।
মায়ার চাচাতো ভাই দম্ভোক্তি করে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে বলেন, আপনারা যা খুশী লিখতে পারেন। টাকা দেয়া হবে না।সে টাকা দিলো কেন।তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে।
ধানখোলা ইউনিয়নের ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার তৌহিদুল ইসলাম নিলু জানায়,মিন্টু আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে, আমি মেয়ের মাকে ফোন দিয়েছি, ফোন দিয়ে তাদের প্রেম সম্পর্ক জেনে বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছি কিন্তু মেয়ের পরিবার বিয়ে দিতে অসম্মতি প্রকাশ করে।
ধানখোলা ইউপির মহিলা মেম্বর রওশনারা খাতুন জানান, বিষয়টি আমি শুধু না গ্রামের অনেকেই শুনেছে।মিন্টু কি সম্পর্ক ধরে মায়ার নামে টাকা বিকাশ করে দিয়েছে আমরা জানিনা।তবে সে বাড়ীতে আসলে বসে বিষয়টি দেখা হবে।
গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন জানাই,ঘটনা সত্য আমি এভিষয়য়ে অবগত আছি।মিন্টু প্রবাসে যাওয়ার আগে থেকেই মায়ার সাথে সম্পর্কটা ছিল,বিদেশ যাওয়ার পর মিন্টু বাড়িতে কোনো টাকা পয়সা পাঠায়নি।আমার জানামতে সম্পূর্ণ টাকা ওই মেয়েকে পাঠিয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।