কুষ্টিয়ায় গাছে গাছে এখন আগাম আমের মুকুল। ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ, ভ্রমরের গুঞ্জন। আমের মুকুলে বেড়েছে মৌমাছির আনাগোনা। মুকুলের মিষ্টি সৌরভ মন্ত্রের মতো টানছে তাদের।
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে আম গাছগুলো মুকুল নিয়ে সেজেছে হলদে রঙের এক অপরূপ সাঁজে। এখানকার বাতাসে ভাসছে মুকুলের মম গন্ধ। মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছে চাষীরা।
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার একাধিক আমবাগান ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি গাছে এখন মুকুলের সমারোহ। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বর্তমানে কীটনাশক স্প্রে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষিরা।এতে পোকা যেমন দূর হবে, তেমনি গাছে দেখা দেবে স্বাস্থ্যকর মুকুল। ফলনও ভাল আসবে। বাগান ছাড়াও বসত বাড়ি, রাস্তার পাশের গাছ গুলোতেও হলুদ আর সবুজ মিলিয়ে কেবলই মুকুল। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা।কুমারখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় প্রায় ১২২ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হচ্ছে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গত বছরের তুলনায় ২ হেক্টর বেশি জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। এখানে বারি -৪, আম রূপালী, ফজলি, ল্যাংড়া, হিম সাগর, কাঁচা মিঠা আম, গোপাল ভোগসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষ করা হয়।গত বছর ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হলেও এবার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়ের আম চাষী গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রায় তিন বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছি। গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভাল ফলন পাব।যদুবয়রা ইউনিয়ের নাজিম উদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আম চাষের অনুকুলে আছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে আগাম ফলন পাওয়া যাবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবাশীস কুমার দাস বলেন, আবহাওয়া অনুকুল ও ভাল ফলন পাওয়ায় আম চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের।গত বছর ১২০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হলেও এবার উপজেলায় তা বৃদ্ধি পেয়ে ১২২ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আম চাষের অনুকুলে রয়েছে।
কৃষক এখন পরিচর্যার কাজ করছে।কৃষি অফিসের সকল সুযোগ সুবিধা কৃষকদের দৌড়গোড়াই পৌছে দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এবছর আমের ভাল ফলন পাবে কৃষক।