দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠা এসব ক্লিনিক এখন কসাই খানায় পরিণত হয়েছে। এক শ্রেণীর ডাক্তারের সহযোগীতায় চলছে এসব অপকর্ম। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কোন রকম অপারেশনের বিধান না থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত চলছে এসব অপকর্ম। আর এই অপকর্মেও প্রথম সারির ক্লিনিক হচ্ছে দৌলতপুরের আলহাজ্ব ক্লিনিক এই ক্লিনিকের নামে এর আগেও অনেক ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কখনোই প্রশাসনের টনক নড়ে না। তথ্য মতে জানা যায়, গতকাল প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয় দৌলতপুর শশীধরপুর গ্রামের আরিফুল এর স্ত্রী মোছা ইসমা তারা আলহাজ্ব ক্লিনিকের মালিক আজিম আলির পরামর্শে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য প্রস্তুত করা হয় ইসমা তারাকে কে ডাকা হয় সিজারের জন্য ডাক্তার এন জামান কে রোগীর অবস্থা অনেক খারাপ তাড়াতাড়ি অপারেশন করতে হবে না হলে বাচ্চা কে বাঁচানো যাবে না এই বলে পরিবারের লোকজন কে বুঝিয়ে শুরু করে অপারেশন এক ঘন্টা পর অপারেশন থিয়েটারে শুরু হয়েছিল চিল্লাপাল্লা সিজার অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চাকে পরিবারের হাতে তুলে দিলেও পরিবারের কারো সাথে দেখা করতে দেয়নি ইসমাকে কিছুক্ষণ পরে ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তার বেরিয়ে এসে বলে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হার্টের সমস্যা আছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখনই কুষ্টিয়াতে নিয়ে যাওয়া লাগবে যেই কথা সেই কাজ সাথে সাথে এম্বুলেন্স ডেকে ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তার নিজ দায়িত্বে রোগীকে বের করে দেয় সাথে একজন নার্স ও দেয় কিছু পথ যাওয়ার পরই নার্স বলে রোগী আর বেঁচে নেই ইসমা তারার স্বামীর দাবি তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে মেরে ফেলা হয়েছে গাড়ি ঠিক করে কুষ্টিয়ায় পাঠানোর উদ্দেশ্য মাত্রই নাটক ছিল এ ব্যাপারে ক্লিনিক মালিকের সাথে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে বিভিন্ন তাল বাহানা কথা বলে সময় পার করার চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেয় এবং আরো বলে আমি সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই ক্লিনিকে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে।