কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মুদি দোকানে খুঁচরা বিক্রি হচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি’র পণ্য। সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ভাবে তেল,ডাল,চিনি সবই বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য পণ্যের মতো।
খাবারের দোকানে বিভিন্ন খাবার তৈরি হচ্ছে সরকারি এসব মাল দিয়ে। মুদির দোকান থেকে চলতি বাজার মূল্যে ক্রেতারা কিনছেন টিসিবি’র পণ্য। সরকারি নির্ধারিত মূল্য, লাল ব্যানার,আর নির্ধারিত বিক্রেতা ছাড়াও অনাকাঙ্ক্ষিত উপায়ে বিক্রি হচ্ছে সরকারি এসব মালামাল।
উপজেলার টিসিবি ডিলার গোলাম মোস্তফা (নাড়ু) সাব ডিলারদের সহযোগীতায় টিসিবি’র মাল হরিলুট করছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন স্থানীয় অনেকেই।
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় সরেজমিন পর্যবেক্ষণে। টিসিবি’র মালের ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপক তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন দোকানে হরহামেশাই এসব পণ্য খুচরা (চলতি বাজার) দামে অনিয়মে বিক্রি হচ্ছে।
এমন অভিযোগ সামনে আসলে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অবগত আছেন। তিনি দেখছেন বিষয়গুলো।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী গণমাধ্যম কে বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এধরণের কাজে ডিলার শিপ বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত টিসিবি ডিলার নাড়ু অভিযোগ অস্বীকার করেননি।
এর আগে এভাবে অবৈধ উপায়ে লাভজনক ব্যবসা চালিয়ে আসলেও মাঝখানে সাময়িক বন্ধ ছিলো আবারও শুরু হয়েছে বেশকিছু দিন, এমন তথ্য দেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা।
খুচরা বিক্রেতাদের একাধিক জন স্বীকার করেন, তারা স্থানীয় ব্যবসায়ী নাড়ু হাজীর কাছে থেকে টিসিবি’র এসব পণ্য কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই ক্রয় করেন। উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাজারে টিসিবি’র পণ্য নিয়মবহির্ভূত ভাবে বিক্রি করে আসছে এই সিন্ডিকেট।
নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের কাছে সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে পণ্য পৌছে দেয়া ও বাজারে সামঞ্জস্যতা রাখতে সরকারের উদ্যোগ এধরণের দুর্নীতিতে ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন ব্যক্তিরা।