সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতি (কভিড ১৯) করোনাভাইরাস। এর থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও।
এ মহামারী ভাইরাসের কবল থেকে দৌলতপুর উপজেলার মানুষকে রক্ষা করতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত ছুঁটে বেড়াচ্ছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আজগার আলী’, তিনি কখনও ছুটছেন জনসাধারণকে সচেতন করতে। কখনও ছুটছেন দরিদ্র অসহায় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে। আবার কখনও ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন হাট-বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং করতে। আজগার আলী এ নিরন্তন ছুটে চলা শুধু মানুষকে একটু সেবা দেয়া।
দৌলতপুর ভূমি কমিশনার আজগর আলী সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গোটা উপজেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। সরকারি বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা ও বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক লোকজনকে জানিয়ে দিচ্ছেন। যেখানে অনিয়ম-অসঙ্গতি, সেখানে তিনি দ্রুত ছুটে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষকে ঘরে রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। আজগার আলী এসব ইতিবাচক কর্মকান্ড উপজেলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
দূরন্ত ছুটে চলা, অবিরাম জীবনের অর্থ খুঁজে ফেরা এই মানুষটি নিজেও জানেন প্রাণঘাতি নোবেল করোনা ভাইরাস কতটা ভয়ংকর। তবুও ভয়কে জয় করে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এবং সচেতন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ভূমি কমিশনার আজগার আলী অক্লান্ত পরিশ্রমে বাড়ছে উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা।
তবুও আজগার আলী বলেন ‘করোনা সম্পর্কে মানুষকে এত বুজাচ্ছি তাও মানুষ কথা শুনছেন না। সরকারি নির্দেশনা মানছেন না। দেখা গেছে, স্পর্টে গিয়ে সচেতন করেছি ও বুঝিয়েছি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যা তাই। আর কত বুঝালে তাদের মাঝে শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আমি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করতে দিনরাত পরিশ্রম করছি। মানুষ আমাদের কষ্টের মূল্য দিচ্ছে না। মানুষ নিজেরা সচেতন না হলে আমাদের পক্ষে গোটা উপজেলা কি ঠিক রাখা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, ‘ এখন পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি। তিনি বলেন, সকলের কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ দয়া করে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচতে সহায়তা করুন।’