কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শারীরিক দুরত্ব বা সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই চলছে সাপ্তাহিক পিঁয়াজ, রসুঁনসহ কাঁচা বাজার ও হাট।প্রতি হাটেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান অব্যহত থাকলেও নির্দেশনা মানছে না হাট মালিকগন।শারীরিক দুরত্ব বা সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত না করেই বসানো হচ্ছে হাট।
রোববার সকালে চৌরঙ্গী মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শারীরিক দুরত্ব বা
সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই বসানো হয়েছে সাপ্তাহিক পিঁয়াজ ও রসুঁনের হাট। সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে পাইকারী ব্যবসায়ী এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে পিঁয়াজ নিয়ে এসেছে কয়েক হাজার কৃষক। হাটে পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়।
জানা যায়, শুধু চৌরঙ্গী নয়, প্রতি শুক্রবার পান্টি, বৃহস্পতিবার বাঁশগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থানে বসে সাপ্তাহিক পিঁয়াজ রসুঁনের হাট। সেখানেও হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়।
চৌরঙ্গী পিঁয়াজ হাটের ইজারাদার আব্দুল্লাহ ফকির মুঠোফোনে জানান, শারীরিক দুরত্ব বা
সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে হাট বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তুু অনেক মানুষের সমাগম হওয়ায় দুরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান জানান, শারীরিক দুরত্ব বা সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দৈনিক কাঁচা বাজার গুলো বিভিন্ন স্কুল ও খোলা মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সাপ্তাহিক বাজার গুলোর শারীরিক দুরত্ব বা সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার দায়িত্ব চেয়ারম্যানদের দেওয়া হয়েছিল, কিন্তুু চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব পালনে অপরাগ হওয়ায় নতুন চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।