গত ১৭ তারিখ সন্ধ্যার পর কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউনিসলর বাবু ও তার পার্টনার চিকুকে জড়িয়ে ত্রানের চাউল নিয়ে দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যম, অনলাইন পত্রিকা ও সোসাল মিডিয়াতে কুষ্টিয়ার অধিকাংশ সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন।
উক্ত প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক গনকন্ঠ ও বিডি টাইমস নিউজের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি এবংসাপ্তাহিক ডাকুয়া পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক কে এম শাহীন রেজার বিরুদ্ধে কাউন্সিলর মেছো বাবু গত ১৯ তারিখে তাঁর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায়……. নং.মোবাইল উলে-খ করে চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেন। কাউন্সিলর মেছো বাবু এজাহারে উলে-খ করেন উক্ত মোবাইল নম্বর থেকে রাত… ঘটিকার সময় শাহীন রেজা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আরশীনগরে আসেন বিষয়টি সমাধান করে দিচ্ছি। আমার জানা মতে শাহীন রেজার মোবাইল নম্বর ০১৭১১-৯৬৬২৫৩ এই নম্বরটিই তিনি সর্বক্ষন ব্যবহার করেন, যে নম্বর দিয়ে চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করা হয়েছে উক্ত নম্বরটি শাহীন রেজার নয় বলে জানা গেছে।
কুষ্টিয়ার সৎ, সাহসী ও নীর্ভিক সাংবাদিক শাহীন রেজার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি সংবাদ প্রকাশের পূর্বে ঐ দির রাত..ঘটিকার সময় কাউন্সিলর মেছো বাবুর বক্তব্য গ্রহনের জন্য তার ব্যবহ্রুত……নং মোবাইল ফোন দিয়ে তার বক্তব্য গ্রহণ করি উক্ত বক্তব্যে উলে-খ আছে ‘ আপনি কেন কুষ্টিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে সাংবাদিকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলেন, ত্রানের চাউল যেভাবে চুরি হচ্ছে তাতে সাংবাদিকরাতো সেখানে যাবেই, উত্তরে তিনি বলেন, পরবর্তীতে আমি তাদের কাছে মাপ চেয়ে নিয়েছি আমার ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
তার পরে তাকে আমি বলি ত্রান চুরির বিষয়ে আমি কাউকে ছাড় দিই না, অন্য কেউ নিউজ না করলেও আমি শাহীন নিউজ করবো আপনার নামে। তিনি আরও বলেন ইতিপূর্বে যত ত্রান চুরির ঘটনা ঘটেছে সকল কিছুর রহস্য উদঘাটন করেছে আমাদের মত সাংবাদিকরাই সুতারাং আপনিও ছাড় পাবেননা মনে রাখবেন। তবে যে নম্বর দিয়ে আমাকে চাঁদাবাজী মামলায় ফাঁসানো হয়েছে উক্ত নম্বরটি আমার নয় বলে দাবী করেন।
কুষ্টিয়ার সৎ, সাহসী ও নীর্ভিক সাংবাদিক শাহীন রেজা এটাও বলেন, চাঁদাবাজী শব্দটি আমার জীবনে নেই, যদি কাউন্সিলর মেছো বাবু সর্বোচ্চ ডাটা ব্যবহার করে চাঁদা দাবীর প্রমান বের করে দিতে পারে তাহলে আমি স্বশরীরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হাজির হব। সাংবাদিকতা জীবনে আমি কখনো কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করি নাই, এই চাঁদা শব্দটি আমার
জীবনে নেই। এই সৎ, সাহসী ও নীর্ভিক সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাঁদাবাজীর মামলাটি যখন কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ইনচার্জ গ্রহণ করলেন তখন তিনি কোন মোবাইল থেকে চাঁদা চাওয়া হয়েছিল তা যাচাই না করেই মামলা গ্রহণ করলেন কিভাবে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে যা দিয়ে এক সেকেন্ডের মধ্যে চাঁদা দাবীকৃত ব্যক্তির ঐ নম্বর ধারীর যাবতীয় তথ্য বের হয়ে আসবে, অথচ বর্তমান ইনচার্জ এতই অদক্ষ যে কোন প্রকার তদন্ত না করেই মামলাটি গ্রহণ করলেন এখন বিষয় হল, কার ইশারায় তিনি মামলাটি গ্রহণ করলেন এটা জনমনে প্রশ্ন জেগেছে।
এ ছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ আছে যে কোন সাংবাদিকের নামে মামলা করতে হলে উক্ত সাংবাদিকের সম্পাদকের কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ করা লাগবে, ইনচার্জ সেটিও করেন নাই। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক ফেডারেশনের আমাদের প্রিয় নেতা সাবান মাহামুদগত২০শে এপ্রিল রাত্রে ত্রান চুরির বিষয়ে বৈশাখী টেলিভিষনে টকশোতে তিনি আমার বিষয়ে বলেন,
কুষ্টিয়া সদর থানার ইনচার্জকে তুলো ধোনা করে বলেন তিনি কেন তদন্ত না করে গণকন্ঠের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি শাহীন রেজার বিরুদ্ধে মামলা গ্রহন করলেন।সাংবাদিক শাহীন রেজা তার মনের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কুষ্টিয়ার মত একটি ছোট্র শহরে সাংবাদিকের ছড়াছড়ি, কিন্তু মূল ধারার সাংবাদিক রয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন। এসকল হলুদ সাংবাদিকের ভীড়ে মূলধারার সাংবাদিকরা আজ হারিয়ে যাচ্ছে। এখনো সময় আছে আপনারা সম্পাদকমন্ডলী যারা আছেন তাদেরকে বলছি এসব হলুদ সাংবাদিকদেরকে ছাটাই করুন। নইলে কলঙ্কের
বোঝা মাথায় নিয়ে থুতু খেতে খেতে আপনাদের জীবন যাবে। এমন এমন ব্যক্তিদেরকে সাংবাদিকতার কার্ড প্রদান করেছে সম্পাদকরা তারা নিজের নাম লিখতে গিয়ে কল ভেঙ্গে ফেলে, প্রেস বানান করতে পারেনা আবার লিখতেও পারেন এরাই এখন বড় মাপের সাংবাদিক। হলুদ সাংবাদিকদের কর্মকান্ডে সূশীল সমাজের কাছে মূলধারার সাংবাদিকরা আজ নানা ধরনের বিতর্কের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।কুষ্টিয়ার সৎ, সাহসী ও নীর্ভিক সাংবাদিক শাহীন রেজা মানণীয় প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, স্ব-স্ব
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, হলুদ ও চাঁদাবাজী সাংবাদিকদের ভীড়ে সামাজের কাছে মূলধারার সাংবাদিকরা আর যেন কলুশিত ও বিতর্কিত না হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনতিবিলম্বে দেশের প্রতিটা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদানের আহবান জানান।