কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরও তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩১ (বহিরাগত বাদে) জন আক্রান্ত হলো।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ৮৬ (কুষ্টিয়া ৭০, চুয়াডাঙ্গা ১, মেহেরপুর ১৫) জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ৮৩ টি নেগেটিভ ও তিনটিতে করোনাভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় ২ জন ও কুমারখালি উপজেলায় ১ জন মোট ৩ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে৷আক্রান্ত ৩ জনের ১ জনের বাড়ি কোলদিয়ার মরিচা দৌলতপুর, ২য় জনের বাড়ি সিরাজনগর ফিলিপনগর দৌলতপুর এবং অপরজন ছেউড়িয়া চাপড়া কুমারখালি। এদের বাড়ি ও এলাকা ইতিমধ্যেই লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার মোট করোনা পজিটিভ ৩৩ (বহিরাগত সহ) জনের (৩২ জনের টেস্ট কুষ্টিয়ায় করা হয়েছে এবং ১ জনের টেস্ট ঢাকায় করা হয়েছে), যার মধ্যে মোট ১৮ জন সুস্থ হয়ে গেছেন। বাকী ১২ জনের মধ্যে ১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য ১১ জনের সবার বাসা লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে এবং আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশন নিশ্চিত করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত সবাই সুস্থ আছেন।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়ে ছাড় পেয়েছেন ১৬ জন রোগী। বাকি আক্রান্তদের একজন ঢাকায় আর ১১জন নিজের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সবাই ভালো আছেন।জেলা স্বাস্থ্যবভিাগ জানায়, কুষ্টিয়ায় প্রথম করোনা শানক্ত হয় ২৩ র্মাচ। সেই থেকে অদ্যাবধি মোট ২৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুসা কবির করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনে বাইরে বের হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে ওই তিন রোগীর বাড়ি ও আশপাশের এলাকা লকডাউনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। জেলাবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন মানুষকেই নিজেদের বাঁচবার তাগিদে নিয়ম মানতে হবে। তিনি বলেন এখনও সময় আছে সর্তক হবার। অনুগ্রহ করে সকলে সতর্ক থাকুন, ঘরে থাকুন৷