নিজেদের বেতন এবং বোনাসের টাকা দিয়ে নিরন্ন মানুষের জন্য খাবারের পসরা সাজিয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত ছাড়া কে আছেন এভাবে অকাতরে বিতরণ করবেন? এসপি তানভীর আরাফাত তার জ্ঞাতসারে কাউকে কখনও অভুক্ত রেখে নিজে খেয়েছেন বলে জানা নেই । করোনা দূর্যোগে মিলপাড়ার একটি মাদ্রাসায় ৬৬ জন এতিম বালক অভুক্ত আছে জেনে তিনি ১ঘন্টার মধ্যে তাদের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। কুষ্টিয়ার শেষ সীমানা মনোহরদিয়ার প্রান্তিক জনপদে এক বন্ধ চায়ের দোকানদারের শিশু সন্তানসহ পরিবার না খেয়ে আছে শুনে তিনি সেখানেও খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। হরিজন, বেদে পল্লীতে খাবার পাঠিয়েছেন। শহরে প্রতিদিন দুপুরে ( রমজান মাসে বিকেলে) হত দরিদ্রদের হাতে হাতে খাবার দিয়েছেন। চৌড়হাস ক্যানাল পাড়া, দৌলতপুরের ময়রামপুর গ্রামে এসপি তানভীর আরাফাত মোবাইলে খবর পেয়ে ক্ষুধার্তদের জন্য খাবার পাঠিয়েছেন। হাসপাতালে সিসিইউতে পিতা আর ঘরে অন্তসত্বা স্ত্রীকে রেখে তিনি করোনার ছোবল থেকে কুষ্টিয়াকে বাঁচাতে রাতদিন প্রানপণ কাজ করে যাচ্ছেন। জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে গণতন্র উত্তরণে রয়েছে বলিষ্ঠ অবদান। মাদকের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম কুষ্টিয়া জেলা ষ্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, আইজিপি, ডিআইজিকে এনে জেলার সকল মাদক কারবারীদের সারেন্ডার করিয়েছেন। অাধুনিক পুলিশ কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। পুলিশকে মানবিক গুনাবলীতে সমৃদ্ধ করে জনসাধারণের আস্থায় এনেছেন। কুষ্টিয়ার অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী কিন্তু দরীদ্র তাদের গোপনে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকেন। জাতীয় শোক দিবসে নিজ বাসায় সপরিবারে এতিম শিশুদের পাশে বসিয়ে মমতায় খাবার পরিবেশন করে মানবতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নিরন্ন মানুষের কাছে নিজে গাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। বাউল, পথশিশু, উন্মাদ, গৃহহীন কেউই বাদ যাননি এই সেবা থেকে। ঘূর্ণিঝড় আমফানে মুক্তিযোদ্ধার পড়ে যাওয়া ঘর তৈরী করে দিলেন তিনি। মানবতার এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে কুষ্টিয়ার জনবান্ধব পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এর। যার পিতা-মাতা দুজনই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত তিনি মানবিক না হয়ে কি পারেন?
Ī দৈনিক আরশীনগর।