কুষ্টিয়া খোকসায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আব্দুর রাজ্জাক (৩৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার বিকেলে মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তি মানিকাট গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২৯ মে) জুম্মার নামাজ শেষে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মানিকাট মধ্যপাড়ার জামে মসজিদের নেতৃত্ব ও ইমাম নিয়োগ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। মসজিদ থেকে শুরু হওয়া হামলা পাল্টা হামলা গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ হামলায় দুই পক্ষের প্রায় ১৭ জন আহত হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। আহতদের খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৩০ মে) বিকালে তিনি মারা যান। উক্ত হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২৯ মে) রাতে খোকসা থানায় পৃথক দুটি মামলাও হয়েছে।
খোকসা থানা সূত্রে জানা যায় শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফ আলীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
নিহতের দাদা মওলানা আয়ুব আলী হামলায় আহত রাজ্জাকের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার সমর্থনে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রামের মধ্যপাড়া ও উত্তর পাড়ার দুটি মসজিদে একক নেতৃত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। আয়ুব আলীর দুই ছেলে মধ্যপাড়া ও উত্তর পাড়ার মসজিদে ইমামতি করেন। প্রতিপক্ষ অনেক দিন থেকে তার ছেলেদের বাদ দেবার চেষ্টা করছে। এর সূত্র ধরে শুক্রবার জুম্মার নামজে প্রতিপক্ষ তাদের লোকদের ওপর হামলা করে
স্থানীয় আওয়ামীল লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, মধ্যপাড়ার মসজিদে জুম্মার নামাজে খুৎবা পাঠ নিয়ে দুই গ্রুপ মুসল্লির মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
মসজিদে হামলার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম এক ভিকটিম মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছবেদ আলী খার দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হবে।