কুষ্টিয়ায় প্রশাসনের নজরদারীর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে যায় গণপরিবহন। কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী অধিকাংশ পরিবহন ছেড়েছে। একইভাবে অভ্যন্তরিন রুটেও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
প্রশাসনের বেঁধে দেয়া নির্দেশনা মেনেই চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন। তবে ভাড়া নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন থাকলেও পরিবহন মালিকরা বলছেন কর্তৃপক্ষের বেঁেধ দেয়া রেটেই বিক্রি হচ্ছে টিকিট। আর তদারকিতে থাকা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দাবী সব নির্দেশনা মেনেই চলাতে হবে গণপরিবহন। চলছেও তাই।
এজন্য কুষ্টিয়ার আইনশৃক্সখলা বাহিনী বিশেষ করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ টিম রয়েছে তৎপর। জেলা ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতাও চোখে পড়ে। সকাল সাড়ে ৬টার সময় কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর রেলগেট, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কুষ্টিয়া শহরবাইপাস সড়কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত-এর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়।
অভিযানে বাসকাউন্টারে দায়িত্বে থাকা স্টাফরা প্রশাসনের নিয়ম মেনে তাদের পরিবহন ছাড়ছেন কি না তা খতিয়ে দেখেন। সেই সাথে অভিযান চলে পরিবহনেও। সরকারের বেধে দেয়া নিয়ম মেনে যাত্রীরা তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সীটে বসেছেন কি না সেবিষয়েও তদারকি করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আহমেদ সাদাত জানান, কোন অবস্থাতেই সরকারের নিয়ম ভেঙ্গে গণপরিবহন চালানো যাবেনা। ¯^াস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়েও দেয়া হয় কঠোর নির্দেশনা। ব্যত্যয় ঘটলে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে সংশ্লিষ্টদের।
আহমেদ সজিব জানান, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন স্যারের নির্দেশে আমরা মাঠে রয়েছি। তাঁর নির্দেশনা মোতাবেক সকাল থেকেই অভিযান চলমান রয়েছে।
কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত স্যারের নির্দেশে ট্রাফিক বিভাগের সকল সদস্য মাঠে কাজ করছে। গণপরিবহন যাতে করে শৃক্সখলা মেনে চলাচল করতে পারে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে আইনশৃক্সখলা বাহিনী।
এদিকে টানা দুই মাস পর গণপরিবহন চালু হওয়ায় যাত্রীদের চাপও বেড়েছে। যাত্রী সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়ায় ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। এতে যাত্রীদের কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও পরিস্থিতি মেনেই চলাচল করছেন তারা।