কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা, এই উপজেলায় প্রায় ৪৭ কিলোমিটার ভারত সীমান্ত দিয়ে অবস্থিত । ভারতের নদীয়া ও বাংলাদেশের দৌলতপুর উপজেলার মাঝে বিভক্ত করেছে মাথাভাঙ্গা ও পদ্মা নদী। দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়াতে দিন দিন মাদকের প্রাদুর ভাব এখানে বেড়ে চলেছে।
২৬ শে মার্চ থেকে বাংলাদেশ সরকার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য সাধারণ লকডাউন ঘোষণা করেন, লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দৌলতপুর থানা পুলিশ যখন নানামুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঠিক সেই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীরা দৌলতপুরকে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালালে দেখা যায়, আগে মাদকের মূল কেন্দ্র ছিল ধর্মদহ, প্রাগপুর, মহিশকুন্ডি জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ কিন্তু বর্তমানের মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল পরিবর্তন করেছে কারন প্রশাসন সেখানে জেনে গেছে । এখন মাদকের মূল স্পোর্ট বানিয়েছে মথুরাপুর ইউনিয়নের মথরাপুর বড়বাজার ও স্কুল বাজার,দৌলতপুর ইউনিয়নের গোবরগাড়া ডিজিএম বাজার, দৌলত খালী বাজার, দৌলতখালী চৌধুরীপাড়া, হুগোলবাড়িয়া ইউনিয়নের গাছের দিয়া টলটলি পাড়া, ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহের মাদি চর এলাকা মাদকের মূল স্পটে এ পরিনত হয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক জনপ্রতিনিধি ও একাধিক মাদকসেবীর সাথে গোপনে যোগাযোগ করলে জানা যায়, সীমান্ত থেকে পার হয়ে মাল রাতেই এইসব অঞ্চলে চলে আসে একদিন এইসব এলাকাগুলোতে রাখার পর মাদক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে দিচ্ছে এইসব অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে কৌশল জানতে চাইলে তিনি জানান, ব্যবসা আর আগের মত করে কোন মাদক ব্যবসায়ী করছে না মাদক তারা নিজের বাড়ি অথবা নিজের নির্দিষ্ট কোন স্থানে রাখেনা। মাঠে অথবা বাগানে মাটির নিচে পুতে রাখে লেনদেন শেষে লেবার দিয়ে পৌছে দেয়। আর এই কারনে প্রশাসনের হাতে মূল ব্যবসায়ীরা আটক হচ্ছেনা। আবার কিছু মাদক ব্যবসায়ী আছে মাদক ব্যবসাকে আড়াল করার জন্য ছোটখাটো মুদির দোকান ও বিকাশ ব্যবসা নিয়ে বসে আছে কারণ তাদের বিকাশের ব্যবসাটা টোটাল মাদক ব্যবসার টাকা লেনদেনের জন্য পরিচালিত হয় এমন সব কৌশল পরিবর্তনের জন্য আপনারা সাংবাদিকরা ও প্রশাসন মাদক ব্যবসার খুবই একটা বুঝে উঠতে পারছেন না কিন্তু বর্তমানে যা ব্যবসা হচ্ছে বিগত ২০ বছরেও আপনারা চোখে দেখেননি। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ জানায় মাদকের বিষয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছেন , এবং মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তার জন্য কোনো ধরনের কোনো ছাড় হবে না।