কুষ্টিয়ায় শহরের প্রানকেন্দ্র মিলপাড়া মহিনী মিলের এক নং গেট সংলগ্ন তামাক প্রক্রিয়া ফ্যাক্টরি এইচ,আর,এস ইন্ড্রাঃলিঃ এর সামনে স্থানীয় জনগন (৪ জুন) বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে আবাসিক ও ঘনবসতি এলাকায় তামাক ফ্যাক্টরি বন্ধের দাবীতে মানব বন্ধন
করেছেন।
মানববন্ধনে অংশ নেন অত্র এলাকার মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ, যুব সমাজ, সহ সকল পেশার জনগণ। মানব বন্ধনে উপস্থিত উপস্থিত সকলের জোর দাবী আমাদের আবাসিক এলাকা ঘনবসতি বাড়ি ঘর আর এখানে এভাবে তামাকের মতো বিষাক্ত ফ্যাক্টরি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
মানব বন্ধনে উপস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজিবি আব্দুর রহমান বলেন, তামাক একটি বিষাক্ত বস্তু আর এই বিষাক্ত জিনিস আমাদের ঘরের সাথে দিন রাত ২৪ ঘন্টা তামাক প্রসেসিং করা হয়, মিল চলাকালে বিষাক্ত কালো ধোয়ার সাথে বিকট দুর্গন্ধে আমাদের নিস্বাস বন্ধ হবার মতো অবস্থা হয়ে যায়, এর কারনে আক্রান্ত হচ্ছে নানা ধরনের অসুখ বিশুখ, আমাদের বাচ্চারা মাঝে মাঝে বমি করে ফেলে। যারা বয়স্ক ও হাপানি রোগী তাদের অনেকে এলাকাতে থাকতে না পেরে অন্যত্র চলেগেছে, তিনি আরোও বলেন,
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লিখা আছে ধুমপানে ক্যান্সার হয় তাহলে আমরা ধুমপান না করেও এই তামাক মিলের কারনে ক্যান্সারের ঝুকিতে আছি, করোনার এই সময়ে এমনিতেই স্বাসকস্ট নিয়ে আমরা সকলে আতংকিত তখন কিভাবে এই মিলের কালো ধোয়ার সাথে তামাকের বিকট দুর্গন্ধ নিয়ে সুস্থ থাকবো? তাই অবিলম্বে আমাদের নিজেদের সাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এই মিল বন্ধ করতে চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, গতকালও আমরা মানব বন্ধন করেছি এই মিলের মালিক পুলিশ দিয়ে আমাদের শান্তিপুর্ন মানববন্ধন ভংগ করে দেয়, তিনি আরও বলেন গতকাল পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা
এসে মিলের ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে মিল মালিক হাফিজ প্রবেশ করতে দেয়নি, উনি অনেক্ষন অপেক্ষা করে ফিরে গেছেন, মিল মালিক হাফিজ একাধিকজনকে বলেছেন এখানে কারোর থাকতে অসুবিধা হলে উঠে চলে যাবে আমি যাবনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মালিক হাফিজ কুষ্টিয়ার এক শিল্পপতির নিকট তম আত্ত্বীয় হওয়ার সুবাদে তিনি কাউকে পরোয়া না করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে উপকৃত প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে উপস্থিত সাংবাদিকরা মিলের ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে যথারীতি আজও উনি প্রবেশ করতে দেয়নি, উনি ভিতর থেকেই বলেন এলাকার মানুষের কথা সঠিক উনারা যা বলছেন আপনারা তাই লিখে দেন। এদিকে গত বুধবার দৈনিক আমার সময় এর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি এ,জে সুজনকে লাঞ্চিত ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি চিনে রাখি, কে সাংবাদিক? এদিকে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গত বুধবার প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের এখান থেকে ওই মিলের কোন অনুমোদন নাই। মিল মালিক মুখে বলছে উনার কাগজ সব সঠিক কিন্তু দেখতে চাইলে নানান অজুহাত দেখায়।
এর আগে কুষ্টিয়া পৌরসভা ২০২০ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময় বেধে দিলেও উনি উনার নিয়মেই চলছেন, কিন্তু বলছেন পৌরসভা থেকে সময় বাড়িয়ে এনেছেন, কিন্তু মিল মালিক হাফিজ মুখে বলছেন সব কাগজ আছে কিন্তু সেগুল সাংবাদিকদরা দেখতে চাইলে বলেছেন পরে দেখাবেন।
তামাক মিলের সাথেই রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল বাচ্চারা মিলের কালো ধোয়া ও তামাকের গন্ধে ঠিক মতো স্কুলে যেতে পারেনা, মাঝে মাঝে স্কুলে বাচ্চারা বমি করে ফেলে। তাই স্থানীয় জনগনের দাবি আমাদের বাচ্চা ও নিজেদের সুস্থ থাকতে হলে জীবন দিয়ে হলেও এই বিষ ফ্যাক্টরি বন্ধ করতে যা যা করা লাগবে তাই ই করব। আমরা মাননীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার মহোদয় সহ আমাদের অভিভাবক আমাদের এমপি হানিফ মহোদয় এর কাছে সাহায্য কামনা করি আমাদের জীবন বাচাতে এই মিল বন্ধ করার জন্য। ইতিপূর্বে এই মিল কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি বলে জানা গেছে।