করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সারা দেশকে আক্রান্তের সংখ্যানুযায়ী রেড জোন, ইয়োলো জোন, গ্রিন জোন হিসেবে তিনটি জোনে ভাগ করেছে। সে অনুযায়ী নেওয়া হবে আইনী পদক্ষেপ।
সরকারের নতুন এই প্রক্রিয়ায় খুলনা বিভাগের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলা রয়েছে ইয়েলো জোনের আওতায়। ইয়েলো জোন হিসেবে কুষ্টিয়া থাকবে আংশিক লকডাউনে। মাগুরা ও বাগেরহাট জেলাও গ্রিন জোনের আওতায় পড়ায় এই দুই জেলাও থাকবে আংশিক লকডাউনে।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা, মেহেরপুর, নড়াইল ও সাতক্ষীরা রেড জেনের আওতায় পড়ায় এই কয় জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন করা হচ্ছে।
খুলনা বিভাগেই দেশের একমাত্র গ্রিন জোন চিহ্নিত জেলা ঝিনাইদহ, অর্থাৎ এটি লকডাউন হবে না। দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক এই লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।
সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ কথা জানানোর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউনেরর রেড জোন দেখানো হচ্ছে। আংশিক লকডাউনেরর জন্য ইয়েলো জোন দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। আর লকডাউন নয় এমন গ্রিন জোন হিসেবে দেখানো হচ্ছে একটি জেলা এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি। এগুলো খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বহিরাগত বাদে কুষ্টিয়া জেলায় শনিবার (৬ জুন) পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেনসহ মোট ১১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। উপজেলা ভিত্তিক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন- দৌলতপুর উপজেলায় ২৩ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ১৯ জন, মিরপুর উপজেলায় ১২ জন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৩২ জন, কুমারখালী উপজেলায় ১৮ জন, খোকসা উপজেলায় ৭ জন।এ এরমধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩১ জন।
কুষ্টিয়া জেলায় উপজেলা ভিত্তিক মোট সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩১ জন। এছাড়াও বহিরাগত করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন ২ জন। বহিরাগত বাদে ২৯ জন সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন- দৌলতপুর উপজেলায় ১১ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ২ জন, মিরপুর উপজেলায় ৫ জন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৪ জন, কুমারখালী উপজেলায় ৬ জন, খোকসা উপজেলায় ১ জন।
বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলায় হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৭ জন করোনা রোগী।এছাড়াও বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ জন করোনা রোগী।