কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ এলাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে বাস্তবায়নাধীন একটি সড়কের সংস্কার কাজে ঠিকাদারের অনিয়মের তদন্ত ও প্রতিকার চেয়ে গত রবিবার ২১ জুন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রদান করেছে গ্রাম বাসী। এদিকে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় নিরীহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ১৭ জুন মামলা করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নিয়ম অনুযায়ী সড়ক নির্মাণ ও গ্রামবাসীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে ১৯ জুন শুক্রবার দুপুরে মানববন্ধন করেছেন ।
এরি পরিপেক্ষিতে গত ২১ তারিখ রবিবার রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়মের তদন্ত ও প্রতিকার চেয়ে ডাকযোগে এলাকাবাসী অনুলিপি প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুরাতন সংসদ ভবন, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫, সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয় ,বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রকৌশলী অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকা। চেয়রম্যান/কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ১ সেগুন বাগিচা, ঢাক ,বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা বিভাগ, খুলনা ও জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া জেলা, কুষ্টিয়া, জেলা পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া জেলা, কুষ্টিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, দৌলতপুর উপজেলা, কুষ্টিয়া, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দৌলতপুর থানা, কুষ্টিয়ার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়ে অনুলিপি জমার রিসিভ কপি গ্রহন করেছে ।
সরেজমিনে জানাযায়, মথুরাপুর জিসি থেকে জুনিয়াদহ জিসি‘র ১৭৬২ মিটার পাকা সড়ক সংস্কারের কাজ পান টিটু এন্টারপ্রাইজ নামক চুয়াডাঙ্গার এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার প্রক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৬৯,২৭,২৭৬ টাকা। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ২৯/১২/২০১৯ ইং তারিখে কাজ শুরু করে শেষ করার কথাছিল গত ১২/০৩/২০২০ তারিখে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ভেড়ামারা এলাকার নাসির উদ্দিন নামে এক ঠিকাদারের কাছে কাজ বিক্রি করে দেন প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি ঠিকাদার নাসির ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে সড়কের কাজ শুরু করেন। এবং গত ১৫ই জুন ঐ সড়কে র্কাপেটিং করার সময় নিম্ন মানের উপকরন ব্যবহার করায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানায় এবং কাজ বন্ধ করে দেন। এই ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১৩ জন নিরীহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় চাঁদাবাজি ও মারপিটের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সড়ক নির্মান কাজের প্রাইম কোর্ট এর ৪৮ ঘন্টা পর র্কাপেটিং করার বিধান থাকলেও আগের দিন শ্রক্রবার সন্ধ্যায় ঐ সড়কে প্রাইম কোর্ট করা হয়। এরপর বৃষ্টিতে প্রাইম কোর্ট ধুয়ে গেলেও পরদিন সকালে নতুন করে প্রাইম কোর্ট না করেই নিম্ন মানের পাথর ও বিটুমিন ব্যবহার করে ঐ সড়কের র্কাপেটিং করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসি’র ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করার কথা। কিন্তু আগেরদিন রাতে কালো ড্রামের ইরানি বিটুমিন গলিয়ে ঐ সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রকৌশলী অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অদক্ষতা অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে না দেখে এড়িয়ে গেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, ১৬ জুন সন্ধ্যায় ঠিকাদারের নিম্নমানের মালামাল সরিয়ে নিয়ে যায়। এবং পরদিন ১৭ জুন গ্রামবাসীদের নামে মামলা দায়ের করেন।