কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৮ কেজি গাঁজা অাটকের পর উধাও করার অভিযোগ উঠেছে মথুরাপুর পুুুলিশ কাম্পের এস আই জাব্বার সরকারের বিরুদ্ধে।
গত ২৪ শে জুন বুধবার উপজেলার হোসেনাবাদ চার রাস্তার মোড় নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ চার রাস্তার মোড় নামক স্থানে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ি পৌঁছালে মোটরসাইকেল যোগে দুজন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভ্যান গাড়িটিকে মথুরাপুরের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হোসেনাবাদ থেকে মথুরাপুর যেতে মাঠের মাঝে কালভাটের কাছে নবনির্মিত ভবনে কর্মরত রাজ মিস্তিরা জানান গত ২৪ শে জুন বুধবার সকাল অনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে সামনের কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে একটি ভ্যান গাড়িতে ২ জন লোক সহ যায়, তার কিছু খন পরে একটি সাদা পুলিশের মোটরসাইকেলে একজন দাঁড়িয়ালা পুলিশ মাঠের ওই রাস্তার দিকে যায়। এই প্রতিবেদক এর কাছে থাকা তথ্য ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর দেওয়া সাক্ষাৎকারের বর্ণনা মতে মথুরাপুর পুলিশ ক্যাম্পের আই সি এস আই জব্বার সরকারের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায়।
গোপনে পাওয়া তথ্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা মত কাঁচা রাস্তাধরে সামনের দিকে আগাতে থাকে এই প্রতিবেদক সহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। কিছুদুর যাওয়ার পরে মাদ্রাসার সামনে কাঁচা রাস্তার যেতে ডান পাশে একটি বাঁশ বাগানের নিচে ভ্যান গাড়িটি নিয়ে যাওয়ার দাগ পাওয়া যায়। পরে সেখানে অনেক খানি জায়গাজুড়ে গাঁজার বিজ ও গাঁজার গুড়া দেখা যায় এবং পাশে ভ্যান গাড়িটির বডির ভাংগা অংশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালানোর সময় গাঁজা বহনকারী ভ্যান গাড়িটির চালকের সন্ধান পাই স্থানীয় সাংবাদিকরা , নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে গাঁজা বহনকারী ওই ভ্যান চালক জানান, আমি গরীব মানুষ, ভ্যান গাড়িটি আমাকে একটি স্থানে পৌঁছে দিয়ে আসার কথা বলে আমি তার কথা মত ভ্যানটি নিয়ে হোসেনাবাদ এলাকার চার রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে আমাকে ২ জন ব্যাক্তি থামতে বলেন আমি থামলে তারা আমার গাড়িটার নিচে তাকিয়ে বলে মালটা কার? আমি তখন কান্নাকাটি শুরু করি ,তখন তারা আমাকে বলেন চুপচাপ থাক তোকে ছেড়ে দেওয়া হবে । আর কান্নাকাটি করলে ছাড়তে পারবোনা। পরে তাদের কথা মত আমি আসতে থাকি হোসেনাবাদ থেকে মথুরাপুর আসার পথের মাঝে একটি নতুন বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে সেই বাড়িটার ডান পাশে একটি হেয়ারিং রাস্তা সেই দিক দিয়ে নামিয়ে নিয়ে যায় পরে মাদ্রাসার সামনে ডান পাশে বাগানে নিয়ে যায়।
এমত সময় মথুরাপুর ক্যাম্প থেকে একটি সাদা কালার পুলিশের মোটরসাইকেল চড়ে একটি দাড়িয়ালা পুলিশ আসে তার গলায় একটি রুপার চেন আছে। সে এসে আমার ভ্যান গাড়িটির নিচে অতিরিক্ত তৈরি করা বডি ভেংগে সেখানে থাকা গাঁজা বের করে নেই। সেখানে গাঁজা ছিল আট কেজি। তিনি আরো জানান তখন ক্যাম্প থেকে আসা সেই অফিসারের কথা মত তারা গাঁজা ২ টি ব্যাগে করে মাঠের মাঝ দিয়ে নিয়ে চলে যায় আমাকে চুপচাপ চলে যেতে বলে আমি চলে আসি ।
এ বিষয়ে মথুরাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ জাব্বার সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
কিন্তু পুলিশ লাইন থেকে তার নামে ইসু করা মোটরসাইকেল যোগে তাকে ঘটনাস্থলে আসতে অনেকেই দেখেছেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আরিফুর রহমান জানান,বিষয়টি আমি শুসেছি তদন্ত করে দেখা হবে।