গত বুধবার রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় সরোয়ার মালিথা (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার ছেলে হক (৩৮)।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
বিশেষ সূত্র জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে পরিবারিক বিরোধ ও ছোট ছেলেদের খেলা-ধুলা নিয়ে সরোয়ার মালিথার পরিবারের লোকজনের সাথে প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হামিদ, জনি, আনা, চতুর আলীর ছেলে বাদশা, ভুগোল, আসাদুলের কথা কাটাকাটি হয়।
এনিয়ে বুধবার রাতে সরোয়ার মালিথা ও তার ছেলে হককে ডেকে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে হামিদ, জনি,আনা,চতুর আলীর ছেলে বাদশা, ভুগোল, আসাদুলসহ ১০-১২ সরোয়ার মালিথার মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
তার ছেলে হক হামলাকারীদের বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে।
পরবর্তী সময়ে সরোয়ার মালিথাকে রক্তাক্ত জখম ও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে তাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
কিন্তুু অদৃশ্য শক্তির করনে মুল ঘাতক হামলাকারী হামিদের নাম আসেনি এজাহারে।
এমন অবস্থায় সারোয়ার মালিথার পরিবারসহ দুঃখ প্রকাশ করেছে স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে সারোয়ার মালিথার বড় ছেলে হক বলেন আমার বাবাকে আমার সামনে সর্বপ্রথম হাত কুড়াল দিয়ে আঘাত করে হামিদ।
আঘাত করার সাথে সাথে আমার বাবা লুটিয়ে পড়ে মাটিতে।
কিন্তু এখন শুনছি সেই হামিদের নামেই নাকি এজাহার আসেনি।
হক আরো বলেন সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হামিদসহ সকল আসামীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।
যেন সাধারণ মানুষ এমন শাস্তি দেখে অন্যায় পথে ধাবিত না হয় আর আমার মত কারোর বাবা কেউ যেন না হারাতে হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি এসএম আরিফুর রহমান জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ব্যক্তি সরোয়ার মালিথা মারা যাওয়ার ঘটনায় দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।