জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে বহিষ্কৃত ডা. সাবরিনা আরিফকে চারদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ভূয়া করোনা সার্টিফিকেট তৈরি এবং অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত চক্রের সকলের পরিচয় জানার জন্য ডা. সাবরিনাকে চারদিনের বিশেষ রিমান্ডে নিয়ে জিঙ্গাসাবাদের আবেদন করেন। অপরপক্ষে ডা. সাবরিনার আইনজীবী তার জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন আবেদন নাকোচ করে দেয়। ডা. সাবরিনার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড চলাকালীন সময়ে তার সাথে পরিবারের কোনো এক নারী সদস্যকে থাকার অনুমতি দেয় আদালত।
এর আগে রোববার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক অফিস প্রজ্ঞাপনে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে ডা. সাবরিনাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
ওই আদেশে বলা হয়, ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সরকারের অনুমতি ব্যতীত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থাকা এবং অর্থ আত্মসাৎ সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল), বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে জন্য ডা. সাবরিনাকে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ১২ (১) বিধি অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
তিনি সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোশ ভাতা প্রাপ্ত হবেন। গতকাল দুপুরে তাকে (সাবরিনা) তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ কামশনার (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।