কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঝরনা দেখতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল সাইফুল ইসলাম (১৬) নামের এক কিশোর। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছোট হাবিরপাড়ার মৃত মোহাম্মদ ওসমানের ছেলে। রোববার সকাল ছয়টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়ার বড়খাল এলাকা থেকে ওই কিশোরের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রেডক্রিসেন্টের বাহারছড়া ইউনিয়ন সিপিসি উদ্ধারকারী দলের দলনেতা আবদুল্লাহ আল মামুন।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শনিবার বিকেলে সাইফুলসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়ার বাগঘোনা বাগরানির ঝরনা দেখতে যায়। বর্ষার শুরুতেই বৃষ্টিপাত শুরু হলে ওই ঝরনাধারাটির সৌন্দর্যের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রতিদিন ওই ঝরনাটি দেখতে মানুষের ভিড় বাড়ছিল। শনিবার বিকেলে সাইফুলসহ তার কয়েকজন বন্ধু সেখানে গেলে হঠাৎ করে পা পিছলে সাইফুল পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে বাহারছড়া রেডক্রিসেন্টের ইউনিয়ন সিপিসি উদ্ধারকারী দলের ৬৫ জনের সদস্য সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালালেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা যোগ দেন এবং ওই এলাকায় রাতভর পাহারা বসান। রাতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হলে ঝরনাধারা থেকে লাশটি নোয়াখালীয়াপাড়ার বড়খাল এলাকা দিয়ে ভেসে যেতে থাকে। এ সময় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো শওকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, রোববার সকালে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালীয়াপাড়া বড়খাল এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।